নিয়মিত গাজর খেলে যেসব রোগ দূরে থাকে
জর আমরা প্রায়ই খেয়ে থাকি। এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি, কে, এ। এছাড়াও নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বহু রোগ দূরে রাখে। তাই গাজরের উপকার জানতে হবে আপনাকে।শীতকালে নানা সবজিতে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। বাঙালির দুঃখ ঘুচেছে। ১০০ টাকার বাজারেই মিলছে ব্যাগ ভর্তি সবজি। এবার সব সবজিরই কিছু না কিছু গুণ রয়েছে। তবে খুব ভালো উপকার মেলে গাজর খেলে।
গাজর খাওয়ার চল আমাদের মধ্যে রয়েছে। নানা তরকারিতে মেশানো হয় এই সবজি। এছাড়াও স্যালাড হিসাবেও খাওয়া হয়। এর ফলে শরীর সুস্থ থাকার রসদ পায়। তবে মুশকিল অন্য জায়গায়। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ আবার এই সবজির গুণ সম্পর্কে জানেন না। সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের অজ্ঞানতায় ভালো সবজি খাওয়া হয় না।
নিয়মিত গাজর খেলে যেসব রোগ দূরে থাকবে
গাজর একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু সবজি যা খালি পেটে খাওয়া হলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার করতে পারে। খালি পেটে গাজর খাওয়ার কিছু উপকারিতা হল: গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ভালো দৃষ্টিশক্তি, সুস্থ ত্বক এবং শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য।
সেক্সে গাজরের উপকারিতা
শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে: গাজরে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং বিটা-ক্যারোটিন। এগুলো শুক্রাণু তৈরি করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষরা নিয়মিত গাজর খায় তাদের দেহে বেশি শুক্রাণু তৈরি হয়। টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করে: গাজরে থাকে ভিটামিন এ আর ভিটামিন এ লিভার এর ফাংশনেও অবদান রাখে
কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের স্নায়ুকে করে শক্তিশালী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কচি গাজর খায়, তাদের চোখের অসুখ হয় তুলনা মূলক কম। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে গাজরের গুরুত্ব অনেক
প্রতিদিন গাজর খেলে কি হয়
প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনক ভাবে বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে যা হাড় গঠন, নার্ভাস সিস্টেমকে শক্ত করা ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
খালি পেটে গাজর খাওয়ার উপকারিতা
গাজর একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু সবজি যা খালি পেটে খাওয়া হলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার করতে পারে। খালি পেটে গাজর খাওয়ার কিছু উপকারিতা হল: গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ভালো দৃষ্টিশক্তি, সুস্থ ত্বক এবং শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য
প্রতিদিন কতটুকু গাজর খাওয়া উচিত
বাস্তবে, দিনে 100 গ্রাম গাজর , বা শুধুমাত্র একটি গাজরের নিচে (যার গড় ওজন 125 গ্রাম), যথেষ্ট। গাজরের এই পরিবেশনায় প্রায় 8200 মাইক্রোগ্রাম (µg) বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রয়োজন প্রায়
কাঁচা গাজর খেলে কি হয়
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের স্নায়ুকে করে শক্তিশালী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কচি গাজর খায়, তাদের চোখের অসুখ হয় তুলনা মূলক কম। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে গাজরের গুরুত্ব অনেক।
গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গাজরের পুষ্টি ও উপকারিতাগাজরে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে। ...
গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে। ...
শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় দ্রুত। ...
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ...
চুল পড়া রোধে গাজরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল কার্যকর। ...
গাজরের থাকা বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়।
গাজর খাওয়ার নিয়ম
গাজর খাওয়ার কিছু টিপস
গাজর ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত।
কাঁচা খাওয়ার সময় খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া উচিত।
গাজর বেশিক্ষণ রান্না করা উচিত নয়।
গাজর দিয়ে তৈরি খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে খাওয়া উচিত।
রুপ চর্চায় গাজর ব্যবহার
গাজর ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। গাজরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ও বিটা-ক্যারোটিন যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। এখানে গাজর ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করতে পারেন তার কিছু পদ্ধতি দেওয়া হলো:১. গাজরের ফেস মাস্ক
গাজর দিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করতে গাজর কুচি করে পেস্ট বানিয়ে তাতে মধু এবং দই মেশান। মুখে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে ও উজ্জ্বল করবে।
২. গাজর ও মধুর স্ক্রাব
গাজর পেস্টের সঙ্গে চিনি ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। এটি মুখের মরা চামড়া তুলে ত্বককে মসৃণ ও পরিষ্কার করে। সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
৩. গাজরের রস
গাজরের রস পান করা ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এতে শরীরের ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। পাশাপাশি, নিয়মিত গাজরের রস ত্বকের বলিরেখা কমাতে সহায়ক।
৪. গাজরের রস টোনার হিসেবে
গাজরের রস তুলোর সাহায্যে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রাকৃতিক টোনারের মতো কাজ করে, যা ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সহায়ক।
৫. গাজর ও লেবুর রস
গাজরের রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। এটি ত্বকের দাগ, ব্রণ ও দাগছোপ দূর করতে সহায়ক। সপ্তাহে ২-৩ বার এটি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
গাজর ত্বকের যত্নে ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব।
লেখকের মন্তব্য
গাজর খেতে অপছন্দ করেন এমন মানুষ কমই আছেন। এটি এমন এক সবজি, যা সারা বছর বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে একটু বেশিই সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। স্বাদ ও পুষ্টিগুণে সেরা গাজর রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও কম যায় না। চোখ আর দাঁতের মতো ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারী এটি। গাজর হতে পারে আপনার সুন্দর আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক ও চুলের গোপন রহস্য! ত্বক আর চুলের সব সমস্যা এই এক গাজর ব্যবহারেই সমাধান করতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url